জর্জিয়া মেলোনি: জাতীয় সার্বভৌমত্বই অগ্রাধিকার

ইতালির প্রধানমন্ত্রী এবং ব্রাদার্স অব ইতালি পার্টির নেত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইইউ সদস্যদেশগুলোর অভ্যন্তরীণ নীতিতে ব্রাসেলসের প্রভাব সীমিত করার পক্ষে সোচ্চার রয়েছেন। তিনি সতর্ক ও নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব নীতি বজায় রাখছেন, যেখানে ইইউ-এর শর্ত পূরণ এবং দেশে সামাজিক ব্যয় বৃদ্ধির চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থান বজায় রেখেছেন এবং সক্রিয়ভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন দিচ্ছেন—এই দিকটি তাকে ইউরোপীয় অনেক ডানপন্থী নেতার চেয়ে আলাদা করে তুলেছে।

মারিন ল্যু পেন: ঘরোয়া বাজারকে অগ্রাধিকার

ফ্রান্সের ন্যাশনাল র‍্যালি পার্টির নেত্রী মারিন ল্যু পেন এমন একটি অর্থনৈতিক নীতিমালা সামনে নিয়ে এসেছেন, যা ফরাসি উৎপাদক এবং ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করে। এক সময়ের “ফ্রেক্সিট” ধারণা থেকে সরে এসে এখন তিনি “ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভেতরে সার্বভৌম ফ্রান্স”-এর পক্ষে জোরাল অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ইইউ-র অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন, বিশেষ করে জ্বালানি, কৃষি এবং অভিবাসন নীতির মতো খাতগুলোতে।

অ্যালিস ভাইডেল: ইউরোপীয় ইউনিয়নের কঠোর বিরোধিতা

জার্মানির অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (AfD) দলের সহ-নেত্রী অ্যালিস ভাইডেল একটি কট্টরপন্থী এজেন্ডা সামনে এনেছেন, যার লক্ষ্য জার্মানির ইউরোপীয় আর্থিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ কমানো এবং রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। তার অবস্থান অর্থনৈতিক উদারনীতির সঙ্গে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাবাদের সংমিশ্রণ—যেখানে কর হ্রাস, নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা, এবং ইইউ থেকে ক্ষমতা সরিয়ে জাতীয় সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।