শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল অত্যন্ত কম, তবে এর মধ্যেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। আসলে, গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য কেবলমাত্র বুধবার কমেছিল—তাও দিনের দ্বিতীয়ার্ধে। মনে করিয়ে দেই যে বুধবার যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আগামী বৈঠকে সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে উস্কে দেয়। তবে দেখা যাচ্ছে, এই উপাদানটির নেতিবাচক প্রভাব পাউন্ডের উপর খুব বেশি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বাকি দিনগুলোতে পাউন্ডের মূল্য ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও ট্রাম্প নতুন করে কোনো বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করেননি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে, শুক্রবার বেশিরভাগ সময় এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট এবং দুর্বল মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে, যা গুড ফ্রাইডে উদযাপনের কারণে ঘটেছে। সারাদিন জুড়ে মূল্যের মোট ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার পরিমাণ ছিল মাত্র ৪১ পিপস। এত কম ট্রেডিং কার্যক্রমের মধ্যে মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার খুব একটা যৌক্তিক ছিল না। সারা দিনজুড়ে এই পেয়ারের মূল্য একটিমাত্র গুরুত্বপূর্ণ লেভেল—1.3272—কে উপেক্ষা করেছে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনো পুরোপুরি ট্রাম্পের পদক্ষেপের দিকে দৃষ্টি ফেরানোয় পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ভবিষ্যৎ মুভমেন্ট এখনো পুরোপুরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে, অন্য কোনো কিছুর উপর নয়।
সোমবার GBP/USD পেয়ার আবারো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেড করতে পারে, যদিও এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। ট্রাম্প এখনো নতুন করে কোনো শুল্ক আরোপ করছেন না, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি কমছে, এবং ব্রিটিশ অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। তবুও, ট্রেডাররা আপাতত এসব বিষয় উপেক্ষা করেই ট্রেড করছে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে নিচের লেভেলগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2613, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, 1.3145–1.3167, 1.3203, 1.3272, 1.3365, 1.3428–1.3440।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। আজ এই পেয়ারের মূল্যের খুব বেশি অস্থিরতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবে পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।