ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং টিপস
যখন MACD সূচকটি শূন্যের অনেক ওপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2946 এর লেভেল টেস্ট করে। তবে এই টেস্টটি ঘটার সময় যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা ডলার দুর্বল হওয়ার প্রত্যাশার ভিত্তিতে পাউন্ড ক্রয়ের যৌক্তিকতা প্রদান করেছিল। তা সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখাতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে লোকসান হয়।
বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার বিপরীতে, মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক হ্রাস পেয়েছে, যা ডলারের ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি ফেডারেল রিজার্ভের সামনে মুদ্রানীতি নমনীয় করার সুযোগ উন্মুক্ত করে দিচ্ছে, যার মধ্যে সুদের হার কমানোর পদক্ষেপও রয়েছে—যা ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্যযুদ্ধের চাপে থাকা অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করতে পারে। প্রত্যাশিত হারে মুদ্রাস্ফীতি না বাড়লে সেটি বর্তমান মুদ্রানীতির কৌশল পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করতে পারে। যদিও ফেড পূর্বে উচ্চ সুদের হার ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছিল, নতুন এই অর্থনৈতিক প্রতিবেদন সেই নীতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
যুক্তরাজ্যের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল GBP/USD পেয়ারের মূল্যের আরও একটি ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের অনুঘটক হতে পারে। তবে, যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য নিম্নমুখী কারেকশন হতে পারে। ট্রেডাররা আজ যুক্তরাজ্যের ট্রেড ব্যালেন্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকেও নজর রাখবেন। বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কারণ সেগুলো দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দেবে। বিশেষভাবে, জিডিপি প্রতিবেদন হলো অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক, যা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উৎপাদিত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য প্রতিফলিত করে। যদি জিডিপি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ে, তাহলে সেটি স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় এবং পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
একইভাবে, শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল একটি শক্তিশালী উৎপাদন খাতের প্রতিচ্ছবি, যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে সহায়তা করে। শিল্প উৎপাদন বাড়লে রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে, যা পাউন্ডকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3097-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3024-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3097-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র জিডিপি প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে আজ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2964-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3024 এবং 1.3097-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2964-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2898-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। পাউন্ড বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.3024-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2964 এবং 1.2898-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।