ইউরোর ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের টিপস
যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যেই শূন্যের বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.1105 এর লেভেল টেস্ট করেছিল। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পরও এটি ইউরোর মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশায় বাই এন্ট্রি নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.1198 এর টার্গেট লেভেলের দিকে বৃদ্ধি পায়।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক বৃদ্ধি না পেয়ে বরং হ্রাস পেয়েছে—যা অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সম্পূর্ণ বিপরীত। এই ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভকে আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার কমানোর সুযোগ দিতে পারে, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে যেখানে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়েছে। প্রত্যাশিত হারে মুদ্রাস্ফীতি না বাড়লে সেটি নীতিগত অবস্থানে পরিবর্তনের একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে, বিশেষ করে আগামী মে মাসের বৈঠকে। এর আগে, ফেড বারবার সুদের হার কমানোর প্রস্তুতির কথা বললেও, মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল সেই অবস্থানকে সমর্থন করছিল না। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। পাশাপাশি, দুর্বল ডলার মার্কিন রপ্তানিকে বৈশ্বিকভাবে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে পারে। তবে আমদানি খরচ বৃদ্ধি পেলে সেই ইতিবাচক প্রভাবটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে।
ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আজও অব্যাহত থাকতে পারে। জার্মানির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচকের বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া গেলেই এই প্রবণতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। আজ ইউরোগ্রুপের বৈঠকও মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। যদিও ইউরোজোনে ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতি কমছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) স্যদের হার কমানোর ক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইউরোজোনের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল কঠোর নীতিগত অবস্থানের প্রত্যাশা আরও জোরদার করতে পারে।
ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের ইউরোগ্রুপের বৈঠকে তারা অর্থনৈতিক প্রবণতা ও নীতিগত সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করবেন, যা ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টের প্রভাব ফেলতে পারে। অংশগ্রহণকারীদের মন্তব্য অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বাজেট কৌশল সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের ভবিষ্যত দিকনির্দেশনায় ইঙ্গিত দিতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.1389-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.1296-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.1389-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব। শুধুমাত্র আসন্ন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1230-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.1296 এবং 1.1389-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.1230-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1162-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব। আজ যেকোন সময় এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা ফিরে আসতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.1296-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.1230 এবং 1.1162-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় সবুজ লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্দেশ করে, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন এন্ট্রি প্রাইস নির্দেশ করে যেখানে এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয় করা যেতে পারে।
- গাঢ় লাল লাইনে টেক-প্রফিট (TP) অর্ডার সেট করা যেতে পারে বা এটি ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার সময় ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন মূল্যায়নের জন্য MACD সূচক ব্যবহার করা উচিত।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
- নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রি নেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মার্কেটে এন্ট্রি না করাই উত্তম। যদি আপনি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেডিং করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে লোকসানের সম্ভাবনা হ্রাসের জন্য অবশ্যই স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন। স্টপ-লস অর্ডার ছাড়া ট্রেডিং করলে দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষত যদি আপনি অর্থ ব্যবস্থাপনার নীতিমালা উপেক্ষা করেন এবং বেশি ভলিউমে ট্রেড করেন।
- মনে রাখবেন, সফল ট্রেডিংয়ের জন্য একটি সুসংগঠিত ট্রেডিং পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক, ঠিক যেমনটি উপরে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে সেটি দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা ট্রেডারদের জন্য লোকসানের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।